নভেম্বর ১৬, ২০২৪

বিশ্ববাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানির মূল্য বেড়ে গেছে। দেশে ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন বিদ্যুৎ খাতের উদ্যোক্তারা। এমন পরিস্থিতিতে সামনে লোডশেডিং ঠেকাতে জ্বালানি আমদানি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এজন্য জ্বালানি আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার সহায়তা দরকার বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন (বিআইপিপিএ) নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বিআইপিপিএ নেতৃবৃন্দ দেখা করে এ দাবি তুলেন।

এদিন সংগঠনটির সভাপতি ফয়সাল খান বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মজুদ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে আগামী মার্চ পর্যন্ত। তবে এটুকুও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট নয়। জ্বালানি তেল আমদানি করতে না পারলে সারাদেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং তীব্র হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও মার্চ থেকে দেশে তীব্র গরমের জন্য আবাসিক ও শিল্পসহ প্রায় সব খাতেই চাহিদা ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যায়। এ অবস্থায় বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। এজন্য রিজার্ভ থেকে প্রতিমাসে ১৫০ মিলিয়ন থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দরকার। যদিও সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি আমদানিতে ডলার সহায় দিয়ে আসছিল। কিন্তু তা যতেষ্ঠ নয়। কারণ বর্তমান ডলার সংকটের কারণে অনেক কোম্পানির জ্বালানি আমদানি কমেছে।

এদিকে বর্তমানে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) তুলনায় ফার্নেস অয়েলভিত্তিক (এইচএফও) কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় কম। এ মুহূর্তে সরকারও এটিকে বিবেচনা করছে ব্যয়সাশ্রয়ী জ্বালানি হিসেবে। কিন্তু আমদানি করতে না পারায় এখন এইচএফওভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উদ্যোক্তাদের মধ্যেও দেখা গেছে দুশ্চিন্তা।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে দেয়া এক চিঠিতে বিআইপিপিএ এর পক্ষ থেকে কতগুলো লিখিত সুপারিশ করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– জ্বালানি আমদানির জন্য এলসি খুলতে স্থানীয় ব্যাংকের বিশেষ উদৈাগ নিতে হবে। এলসির সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোকে চাহিদা অনুযায়ী ডলার সরবরাহ করতে হবে। এই খাতের উদ্যোক্তাদের একক ব্যক্তি ঋণের সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দীর্ঘ বকেয়া বিল পরিশোধে কার্যকরী উদৈাগ নিতে হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...