নভেম্বর ১৫, ২০২৪

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবার ১৮ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার মার্চ ও এপ্রিল মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বকেয়া দেনা বাবদ ১৬০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরই রিজার্ভ আবার কমে গেছে।

তবে আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ যেখানে নামছে, ওই অঙ্কে সহসা ফিরছে না। ফলে গড়ে রিজার্ভের পরিমাণ ক্রমেই নিুম্নখী। তবে চলতি মাসের শেষদিকে বা আগামী মাসের শুরুতে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। তখন রিজার্ভ আবার কিছুটা বাড়বে।

সূত্র জানায়, আকুর সঙ্গে এর সদস্য নয়টি দেশ দুই মাসের বাকিতে পণ্য আমদানি রপ্তানি করতে পারে। দুই মাস পর পরবর্তী মাসের প্রথম ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেনা পাওনা সমন্বয় করতে হয়। সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, ইরান, মিয়ানমার ও মালদ্বীপ। এর মধ্যে বাংলাদেশ আকুর সদস্য দেশগুলো থেকে বেশি আমদানি করে, রপ্তানি করে কম। যে কারণে প্রতি কিস্তিতেই বাংলাদেশ মোটা অঙ্কের আমদানির দেনা পরিশোধ করে। একসঙ্গে বড় অঙ্কের দেনা পরিশোধ করা হয় বলে রিজার্ভও কমে যায়।

গত মার্চ ও এপ্রিলের দেনা বাবদ গত বৃহস্পতিবার ১৬০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ওই অর্থ পরিশোধের পর নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৮২৩ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। দেনা পরিশোধের আগে নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৮৩ কোটি ডলার। এর আগেও আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৮ বিলিয়নের ডলারে নেমেছিল। তবে ওই সময়ে রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ছিল। এবার তার চেয়ে বেশি নেমেছে।

গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে আকুর দেনা বাবদ ১২৯ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল।

এদিকে চলতি মাসের শেষদিকে বা আগামী মাসের প্রথমদিকে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। এটি পেলে রিজার্ভ আবার কিছুটা বাড়বে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...