
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘সংলাপ ছাড়া সংকটগুলো রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়।’
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সিইসি এসব কথা বলেন। প্রায় দেড়ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও বিশ্বাস করেন দলগুলোর সাথে সংলাপ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, উনারাও বিশ্বাস করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন। সংলাপ ছাড়া সংকটগুলো রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়। এই কমিশনের পক্ষ থেকে আমি মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলো এক টেবিলে বসা উচিত, একসঙ্গে চা খাওয়া উচিত। তারপরে আলোচনা করে এই সংকটগুলো নিরসন করা উচিত।’
ভোট আয়োজনকারী সংস্থাটির প্রধান কাজী হাবিবুল আউয়াল সংলাপের প্রয়োজন মনে করলেও সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানিয়েছিলেন, ভোটের আগে কমিশন কোনো সংলাপের উদ্যোগ নেবে না।
নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যেটা আমরা সবসময় নির্বাচন কমিশন থেকে বলে থাকি। দেশে যে সংকট বিরাজ করছে, তা রাজনৈতিক। সেটার সঙ্গে আমার কর্মের কোনো সংঘাত নেই। এ সমস্যা যদি রাজনৈতিকভাবে সেটেল হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করা অনেক কমফোর্টেবল হবে, সহজ হবে।
‘আমরা প্রত্যাশা করি, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে যে প্রকট কতগুলো বিষয় রয়েছে, সেগুলো যে কোনো মূল্যে সুরাহা হয়ে যাক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। স্থিতিশীল পরিবেশে আগামী নির্বাচনটা সহজ হয়ে যাবে।’
অক্টোবরে উনাদের (যুক্তরাষ্ট্র) প্রি এসেসমেন্ট টিম আসবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘উনারা আরপিও সংশোধনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। উনিও দেখেছেন শুনেছেন আরপিও সংশোধনে আমাদের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা উনার কাছে কীভাবে এটা বাড়ানো হয়েছে তা ব্যাখ্যা করেছি। উনি জানতে পেরেছেন, শুনেছেন, এখানকার মোর ভাইব্রেন্ট পলিটিকাল পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি।
‘যাদেরকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে তারা ওইভাবে ভাইব্রেন্ট নয়। এর জবাবে আমরা রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে গেলে আমাদের বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয়, তা আমরা সেগুলো স্ট্রিকলি ফলো করেছি। এইজন্য অনেক দল নিবন্ধন পাননি। মাত্র দুটি দল নিবন্ধন পেতে পারে। তারা উপজেলা ও জেলা লেভেলে ক্রাইটারিয়াগুলো পূরণ করেছে।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা উনাকে বলেছি, নির্বাচনে স্বচ্ছতার জন্য মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সে প্রসঙ্গে উনি জানতে চেয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি কী পাবে? এর জবাবে আমরা বলেছি, এ বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় আছে। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ওখানকার অবস্থা বিবেচনা করে মোটরসাইকেল অনুমতি দেবেন। আমরাও কেন্দ্রীয়ভাবে এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে অবহিত করবো।’