বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরাইলির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বৃহস্পতিবার হওয়া বৈঠকে গাজায় অবিলম্বের যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর ভাষণ দেওয়ার একদিন পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বৈঠক চলাকালে হোয়াইট হাউসের বাইরে ফিলিস্তিনের সমর্থনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে।
বৈঠকের শুরুতে বাইডেন নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আপনাকে আবার স্বাগত মিস্টার প্রধানমন্ত্রী, আমাদের আলাপ করার অনেক কিছু রয়েছে। আমাদের এখনই শুরু করে দেওয়া উচিত।’
এর জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘একজন গর্বিত ইহুদি জাওনিস্টের পক্ষ থেকে একজন গর্বিত আইরিশ আমেরিকান জাওনিস্ট হিসেবে আমি আপনাকে ৫০ বছরের রাষ্ট্রীয় সেবা এবং ৫০ বছর ইসরাইল রাষ্ট্রকে সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আজকে আলোচনা করতে এবং আগামী মাসগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আপনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
নেতানিয়াহু জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রায় ৪০ বছর ধরে চেনেন। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট মজার ছলে জানান, তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়া প্রথম ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন গোল্ডা মেইর।
মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে জানান, বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্ত করে আনা, লেবাননে সংঘাত ছড়িয়ে পড়া, ইরানের হুমকি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কিরবি আরও জানান, মার্কিন-ইসরাইল সম্পর্কের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল তা এখন নেই। তার মানে এই নয় যে— দুই দেশ সব বিষয়ে একমত হবে।
বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর নেতানিয়াহু মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এছাড়া শুক্রবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর।
বাইডেন এর আগে সতর্ক করে বলেছিলেন, ইসরাইল যদি রাফাহতে বড় আকারের স্থল আক্রমণ শুরু করে তাহলে তার দেশ ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করে দেবে।
৯ মাস ধরে চলছে ইসরাইল-গাজা যুদ্ধ। যুদ্ধটি বন্ধ করে আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে আছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার আমেরিকা সফরে গেছেন নেতানিয়াহু।