ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

উচ্চরক্তচাপের রোগীদের গরুর মাংস খাওয়ায় ভীতি কাজ করে। তাই বলে উৎসব আয়োজনেও লাল মাংস খাওয়া যাবে না? সঠিক পদ্ধতিতে গরুর মাংস খেলে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ জাহানারা আক্তার সুমি।

তিনি বলেন, গরুর মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। সুতরাং যাদের, ওজন বেশি, যাদের বিভিন্ন হার্টের সমস্যা রয়েছে, যাদের ফ্যাটি লিভার বা রক্তে কোলেস্টেরল বা অন্যান্য চর্বির মাত্রা অনেক বেশি, তাদেরকে মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

মাংস নির্বাচন: মাংস নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। মাংস কাটার সময় ছুরি দিয়ে দৃশ্যমান যে চর্বিগুলো রয়েছে সেগুলোকে খুব ভালো করে দূর করতে হবে। এছাড়া মাংসের যে অঞ্চলগুলোতে চর্বির পরিমাণ অনেক কম থাকে যাকে লিন মিট বলা হয়ে থাকে সে ধরনের মাংস খাওয়ার জন্য নির্বাচন করতে হবে।

রান্নার পদ্ধতি: রান্নার ক্ষেত্রে তেল যথাসম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে। মাংস ভুনা করার পরিবর্তে বারবিকিউ, কাবাব, গ্রিল বা স্টেক অথবা অল্প তেলে ঝোল রান্না করলে সেটা অনেক খানি নিরাপদ।

পরিমাণ: শরীরের ওজন ও বয়স এর উপর নির্ভর করে একজন মানুষ কতটুকু ফ্যাট, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করবে। তবে একজন এডাল্ট মানুষ যদি কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকে তবে ৮০/১০০ গ্রাম পর্যন্ত মাংস খেতে পারবেন। কিন্তু শারীরিক সমস্যা যেমন: হার্টের কোনো রোগ, ওজনাধিক্য অথবা কিডনির সমস্যা থাকলে তাকে মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। খেলেও দিনে এক থেকে দুবারের বেশি নয় এবং পরিমাণে দুই থেকে তিন টুকরা ও ঝোল যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে।

সময়: সকাল, দুপুর অথবা সন্ধ্যার মধ্যেই খাওয়া ভালো। বেশি রাতে অথবা ঘুমানোর আগে এই ধরনের রেড মিট খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

ওষুধ: যাদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বা অন্যান্য চর্বি বেশি, যারা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খান তারা অবশ্যই সময়মতো ওষুধ গ্রহণ করবেন।

আশঁবহুল খাদ্য: সারাদিনের খাদ্য তালিকায় আশ বহুল খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। লাল আটা, লাল চাল, সবজি সালাদ এসব রাখতে হবে। আশবহুল খাদ্য ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি পানি বা ফ্লুইড এর পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...