নভেম্বর ২৫, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা জানিয়ে যাচ্ছি। আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য এই খাতটা অবদান রাখতে পারে সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি। আমাদের টেকসই স্বাস্থ্য সম্মত, পরিবেশবান্ধব মৎস্য সম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ এবং মৎস্য চাষ সম্প্রসারণের দিকে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণ আমরা করছি।

আজ দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইন্ট্যারন্যাশনাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড সিফুড শো-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা সমুদ্র সম্পদের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে নীল অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। তাই আমি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ আমরা আরও সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করতে পারি।

দেশীয় মাছের রফতানি বাড়াতে মাছের সংগ্রহ, বিতরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে যথাযথ মান বজায় রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করে তিনি বলেন, কারণ মাছ হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যৌথ সহযোগিতায় বা পৃথকভাবে এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন বলেও আবারও তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে স্পেশাল ইকোনমিক জোন তৈরি করা হচ্ছে, লক্ষ্যটা হচ্ছে এ জায়গাতে থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিনড্রাইভ তৈরি করা হবে। এটা যখন তৈরি হবে, এদিকে যেমন আমাদের সমুদ্র রক্ষা পাবে অন্যদিকে জলোচ্ছাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাবে সবকিছু। সেভাবেই আমরা সেখানকার পরিবেশটা উন্নত করতে চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর দেখি গবেষণা খাতে কোনো অর্থ ব্যয় ছিল না। সেখানে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমুদ্র নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করে, যার সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...