নভেম্বর ১৪, ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে স্থবির হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক। তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢাকা ও ইসলামাবাদ তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য ‘নিঃশব্দে’ কাজ করছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।

কূটনৈতিক নানা ডামাডোলের মধ্যেই পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মধ্যে বৈঠক হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের পর গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি অবশ্যই ইসলামাবাদের জন্য ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ‘দরজা’ খুলে দিয়েছে।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, শেখ হাসিনার আমলে কোনো সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করাটা ছিল পাকিস্তানি কূটনীতিকদের জন্য কঠিন কাজ। তবে গত কয়েক সপ্তাহে পাকিস্তানি কূটনীতিক এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মধ্যে টেলিফোনেও যোগাযোগ হয়েছে। উভয় পক্ষের নিয়মিত এই যোগাযোগ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের আশা পুনরুজ্জীবিত করেছে।

ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মধ্যে সম্প্রতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও প্রক্রিয়া পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়াও রয়েছে। যেমন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন। এটি বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি শীর্ষ ফোরাম, যা শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অকার্যকর হয়ে পড়েছিল।

তবে বাংলাদেশের সঙ্গে সেই যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন এখন পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছে পাকিস্তান। এ উদ্দেশ্যে সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধও করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার।

এদিকে সম্পর্ক উন্নয়নের চলমান প্রচেষ্টায় গতি আনতে ড. ইউনূস এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ চলতি মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মিলিত হতে পারেন বলে জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

বলা হচ্ছে, বহু বছরের মধ্যে এটি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক। কারণ শেখ হাসিনা তার মেয়াদে এ ধরনের যোগাযোগ কার্যত ছিন্ন করেছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...