এপ্রিল ১৮, ২০২৪

সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞার যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেই বিষয়ে সরকার ভীত ও চিন্তিত না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘এটি সবার জন্য সতর্কবার্তা।’

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তন সব নাগরিকের জন্য সমান। এটা আলাদা কোনো দল বা ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা নয়। আমার মনে হয় ভিসা প্রক্রিয়ার এই পরিবর্তন বিএনপির জন্যও প্রযোজ্য। তারা মানুষ পুড়িয়েছে, গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে ও গর্ভবতী মায়ের অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখেছে। এগুলোর কারণে তাদের ভিসা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তবে নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তনে সরকার চাপ অনুভব করছে না।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখিতভাবে জানিয়েছে, ২০০৮ সালে একটি ফেয়ার ইলেকশনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এর পরে জনগণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পরপর তিনবার আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। তিনবার একটি দল ক্ষমতায় রয়েছে বলেই আমাদের নানামুখী উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে৷ আরও একটি সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করতে হবে। অর্থনীতি, শিক্ষা, বাণিজ্য ও কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে আজ বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী যেকোনও মূল্যে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কেউ যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের বিষয়৷ তবে আমরা শেষ দিন পর্যন্ত চাইবো বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। জনগণ, কূটনীতিক ও প্রশাসনসহ সবাইকে নিয়ে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে৷ আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষিত এই ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির বিষয়ে এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার পাশে রয়েছে বলে মনে করে সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিজেদের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকারের ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণ অনেক বেশি সচেতন। ভোট কারচুপির মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকার কোনো নজির নেই।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *