যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সোমবার ক্যামেরনের হাতে এ দায়িত্ব তুলে দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
যুক্তরাজ্যের সরকার ব্যবস্থায় ক্যামেরনের এভাবে ফিরে আসা সবাইকে খানিকটা হলেও বিস্মিত করেছে। অবশ্য নিজের মন্ত্রিসভার শীর্ষপদে একের পর এক রদবদল এনে সোমবার বেশ কিছু চমক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
তিনি প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন সুয়েলা ব্রাভারম্যানকে। তারপর নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয় জেমস ক্লেভারলিকে, যিনি এতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন। তারপরই প্রশ্ন উঠে তবে কে হচ্ছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খানিকক্ষণ পর জানা যায়, ক্যামেরনের নাম। শোনা যাচ্ছে, সুনাকের মন্ত্রিসভায় আরো কিছু রদবদল আসছে।
৫৭ বছরের ক্যামেরন ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালে ঐতিহাসিক এক গণভোটে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে রায় এলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ক্যামেরন। তিনি ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন।
পদত্যাগের পর গত সাত বছর নিজের স্মৃতিকথা লিখে এবং ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ক্যামেরন। যদিও ব্যবসায় তেমন একটা সুবিধা করতে ব্যর্থ হন তিনি। তার ফিন্যান্স ফার্ম ‘গ্রিনসিল ক্যাপিটাল’ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিবিসি জানায়, সোমবার নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর হাসিমুখেই ১০ ডাউনিংস্ট্রিট ছাড়েন ক্যামেরন।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি লেখেন, যদিও আমি গত সাত বছর ধরে সামনের সারির রাজনীতির বাইরে ছিলাম, তবে আমি আশা করছি, এগারো বছর ধরে রক্ষণশীল নেতা এবং ছয় বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার যে অভিজ্ঞতা তা আমাকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করতে সাহায্য করবে।