

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে কোনো সংঘাত চাই না। যাকে খুশি ভোট দেবেন। ভোটটা অনেক জরুরি। আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এবারের ভোটে কোনো গন্ডগোল চাই না, যে যাকে খুশি ভোট দেবেন। ভোট অনেক জরুরি। ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। ভোটের মাধ্যমে বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় এসেই আমরা লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, বাংলাদেশের উন্নয়ন করব, দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করব, সেসব বিষয়ে অগ্রগতি লাভ করেছি। দেশে দারিদ্র্যের হার কমানো হয়েছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, শিক্ষার হার বাড়ানো হয়েছে। মূলত দেশের উন্নয়ন ব্যাপকভাবে করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ ভোট চুরি করলে মেনে নেয় না। জনগণের আন্দোলনের কারণে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু তারপরও তাদের শিক্ষা হয়নি। ফের ২০০১ সালের নির্বাচনে তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা শুরু করে। ওই নির্বাচনে আমি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে রাজি না হওয়া ষড়যন্ত্রের শিকার হই। এর ফলে ক্ষমতা আসতে পারেনি।
তিনি বলেন, গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই তারা দুর্নীতি লুটপাত, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের অকাট্য নির্যাতন শুরু করে। তাদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে যায়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও আরেক দিকে তারেক যে হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি জানত জনগণ তাদের ভোট দেবে না। এর ফলে তারা এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট তৈরি করে। সেভাবে নির্বাচন করার প্রচেষ্টা নেয়। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০টি সিট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ ২৩৩ সিটে জয়ী হয়। আর অন্য সিটগুলো আমাদের জোটের শরিকরা পেয়েছিল।
এদিন রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলা, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলা ও মহানগর, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ জেলা ও মহানগর এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাচনী জনসভা করছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা/থানা/পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাসমূহের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি পর্যায়ক্রমে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলা, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলা ও মহানগর, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ জেলা ও মহানগর এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর এবং ইউনিয়ন,ওয়ার্ড নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকার দল মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত রয়েছেন।