বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া এলাকায় জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গেল আর একটি জাহাজ। প্রাণে বাঁচাতে জাহাজটি থেকে লাফ দিলেন ১০ কর্মী।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহীন মজিদ জানান, ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটির ফিটনেস ছিল না। এর সার্ভে সনদও মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ৬ নম্বর মুরিং বয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে পাথরবোঝাই করে ‘এমভি মাস্টার দিদার’ লাইটার জাহাজটি যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্য রওনা দেয়। পথে পশুর নদীর হারবাড়িয়া এলাকায় অন্য একটি লাইটারেজ জাহাজের সঙ্গে এর ধাক্কা লেগে এমভি দিদারের তলা ফেটে জাহাজটি ডুবে যায়। তবে ওই সময় জাহাজে থাকা ১০ জন কর্মী জাহাজটি থেকে লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান বলে জানা গেছে।
ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহীন মজিদ বলেন, ডুবে যাওয়া ‘এমভি মাস্টার দিদার’ জাহাজের মালিক দেলোয়ার হোসেনকে ডাকা হয়েছে এবং দ্রুত জাহাজটি উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ সার্ভে সনদ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে লাইটার জাহাজটি পণ্য পরিবহন করে চলেছে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হবে। তবে লাইটার জাহাজটি ডুবে গেলেও মোংলা বন্দরের মূল চ্যানেলে নৌযান চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়নি।
খুলনা নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রাশেদুল আলম জানান, তাঁদের কাজ নিবন্ধন দেওয়া। আর ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যেসব নৌযান নদীতে চলাচল করছে তা দেখার দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং নৌ পুলিশের।
মো. রাশেদুল আলম আরও বলেন, পাথর নিয়ে যে জাহাজটি ডুবেছে, সেই জাহাজটির বিরুদ্ধে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্ভে সনদ ও ফিটনেসবিহীন থাকার অভিযোগে গত অক্টোবর মাসে মেরিন কোর্টে একটি মামলা দিয়েছিলেন তিনি। এখনো এর শুনানি হয়নি। তার পরও জাহাজটি পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ছিল। তদন্ত কমিটি গঠন করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।