

ক্যারিয়ারে ভালো ফর্মে থেকেও ফুটবল থেকে বিদায় নিয়েছিলেন হীরক জোয়ার্দার। মিরপুর উপজেলার সুলতানপুরে নিজ বাসায় ভোরে ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন সাবেক এই স্ট্রাইকার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৭ বছর।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হীরকের আকস্মিক মৃত্যুর খবর জানা গেছে।
হীরকের ফুটবলের শুরু বিকেএসপিতে। ২০০০ সালের ব্যাচে ক্রিকেটার মুশফিক, হকি খেলোয়াড় মামুনুর রহমান চয়ন হীরকের অন্যতম সতীর্থ। আকস্মিক বিদায়ে ভীষণ ব্যথিত চয়ন বলেন, ও সুস্থ-স্বাভাবিক ছিল জানতাম। আজ ভোরে বাসায় বাথরুমে বোধহয় স্ট্রোক করে। এরপরই দ্রুত দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়৷ এত দ্রুত আমাদের বন্ধু এভাবে চলে যাবে কল্পনাও করিনি।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলামও বিকেএসপিতে হীরকের সিনিয়র। দুঃখ ভারাক্রান্ত সাবেক তারকা বলেছেন, হীরকের খবরটা শুনে অনেক খারাপ লাগছে। ও অনেক ভালো মনের মানুষ ছিল। ফুটবলারও খারাপ ছিল না। ক্লাবের হয়ে গোল আছে ওর। আল্লাহ যেন ওকে বেহেস্তবাসী করেন।
আজই জানাজা শেষে সুলতানপুরের মাটিতে চিরশায়িত হবেন হীরক জোয়ার্দার। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে।
১০ বছর আগে ফুটবলকে হঠাৎ বিদায় জানিয়ে কুষ্টিয়ায় ফিরে গেছেন। এতদিন ব্যবসা আর রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। এখনো মনে পড়ে সেই দিনের কথা, প্রায় এক যুগ আগে গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়নের ক্লাবের রুমে বসে ফুটবল ছেড়ে নিজের এলাকায় ব্যবসায় মনোনিবেশের কথা জানিয়েছিলেন সহকর্মীদের।
ঘরোয়া ফুটবলে হীরক পরিচিত এক নাম৷ দ্রুতগতির ফুটবলার হিসেবেও তার আলাদা পরিচিতি ছিল। জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন। ইন্দো–বাংলা গেমসে বাংলাদেশের সোনাজয়ী দলের অন্যতম সদস্যও ছিলেন তিনি। এছাড়া ঘরোয়া ফুটবলে শেখ রাসেল, ব্রাদার্স, ফরাশগঞ্জসহ কয়েকটি ক্লাবে খেলেছেন। হীরকের অমায়িক ব্যবহার সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করত।