নেতৃত্ব ছাড়ার পর টি-টোয়েন্টি দল থেকে জায়গা হারিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ঘরের মাঠ চলমান ইংল্যান্ড সিরিজ। কোথাও জায়গা হয়নি তার। বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে তার ওয়ানডে ক্রিকেটের পারফরম্যান্স নিয়ে। রানে থাকলেও স্ট্রাইক রেটের প্রত্যাশা মেটাতে পারছে না তার ফিনিশার ভূমিকার।
মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ে যে বয়সের ছাপ পড়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এক সময় বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডারের ভরসা ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতেন আবার কখনও ম্যাচ বের করে নিয়ে বাংলাদেশকে আনন্দে ভাসাতেন। অথচ সেই মাহমুদউল্লাহই যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটারদের তালিকায় অবশ্য তিনে রয়েছেন তিনি। এই সময়ে ৩৬ ম্যাচে ৯৭৪ রান করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। প্রায় চল্লিশ গড়ে রান তোলা মাহমুদউল্লাহর স্ট্রাইক রেট ৭৪.০১। মাহমুদউল্লাহ যেখানে ব্যাটিং করেন সেখানে এমন স্ট্রাইক রেট খানিকটা বেমানানই বটে। দ্রুত রান তুলতে না পারায় সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে ৩৭ বছর বয়সি এই ব্যাটারকে।
এদিকে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়ার হলে নিয়মিতই বাংলাদেশের স্কোয়াডে থাকা হতো মাহমুদউল্লাহর। বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় না থাকার কারণেই বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে নেই মাহমুদউল্লাহ, এমনটাই মনে করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এই পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন ।
কয়েকদিন আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল তরুণদের তৈরি করতেই নেয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে জলঘোলাও হয়েছে অনেক। কয়েকদিন পর আয়ারল্যান্ডের মাটিতে আবারও ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। যথারীতি এবারও বাংলাদেশ দলে জায়গা হয়নি মাহমুদউল্লাহর।
খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘(মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার অবশ্যই। বাংলাদেশ দলকে সে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। কিন্তু যদি আমি সত্যি বলি, যেহেতু ও জাতীয় দলে নেই, আমি যেভাবে দেখছি, রিয়াদকে আমি বিশ্বকাপে দেখছি না। কারণ যদি তাকে বিশ্বকাপে দেখতাম এই সিরিজগুলোতে থাকতো। হয়তো হৃদয় ভালো করছে, আফিফও এখন দলে নেই। তারপরও সুপার লিগের ম্যাচগুলোতে রিয়াদ নিজেকে কীভাবে মেলে ধরে সেটাও দেখার বিষয়। কিন্তু রিয়াদ যখনই খেলেছে বাংলাদেশের জন্য, খুব গুরত্বপূর্ণ একটা জায়গায়। যেখানে আপনি হিরোও হতে পারেন, জিরোও হতে পারেন। রিয়াদ হয়তো দুটির স্বাদই পেয়েছে। ওর অনেক ম্যাচ আছে যেগুলো একাই জিতেছে। আসলে মূল কথা হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিটা আসল। রিয়াদকে দলে কতটুকু দরকার বা ওর বদলে যারা খেলছে পারফর্ম করছে কি না। যদি পারফর্ম করে, দল যদি সন্তুষ্ট থাকে; তাহলে রিয়াদের সুযোগ কম থাকবেই।’
সুজন আরও বলেন, ‘যদি ওরকম না হয়, রিয়াদের অভিজ্ঞতা তো আছেই। যেকোনো সময় ব্যাক করলে পারফর্ম করতে পারবে সেটা আমরা সবাই বিশ্বাস করি। সময় তো আছে, একদমই রিয়াদ যে বাহির হয়ে গেছে তা না। কিন্তু আমার মনে হয় বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ আনা ঠিক হবে না। তার আগেই ওকে এনে সিরিজ ও ম্যাচ দিতে হবে।’