ভারত থেকে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে পাইপ লাইনে তেল আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউসে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। রংপুর বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভাগীয় পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা হয়।
তিনি বলেছেন, ‘ভারত থেকে তেল আমদানির বিষয়টি ভালোই অগ্রগতির মধ্যে আছে। আশা করছি আগামী মার্চ বা এপ্রিলের দিকে এটির উদ্বোধন হয়ে যাবে। সে জন্য দুই দেশের সরকার প্রস্তুত আছে।’
এছাড়া রংপুর অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। তিনি বলেছেন, ‘চিলাহাটির সঙ্গে আশপাশের দেশের মধ্যে যে কানেক্টিভিটি, বিশেষ করে মোংলার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের বিষয় এর আগে কল্পনা করা যায়নি। এই কানেক্টিভিটি উত্তরণের জন্য যা যা করা দরকার সব কিছুই করা হবে। এ জন্য আমাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আপনাদের কোনো সময় দিচ্ছি না, তবে আপনাদের প্রত্যাশাকে আমরা সম্মান করি। প্রত্যাশাগুলো খুবই ভালো এবং এসব অবকাঠামো করতে পারলে আমরা মনে করি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক দ্রুত হবে।’
রংপুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ উন্নয়নের অগ্রগতির প্রশংসা করে মুখ্যসচিব আরও বলেছেন, ‘রংপুর বিভাগের যেসব ডিপার্টমেন্ট আছে, ধরুন সড়ক বিভাগ, এলজিইডি, খাদ্য, কৃষিসহ অন্য সব ডিপার্টমেন্টে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে যে টার্গেট নির্ধারিত আছে, সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তারা কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও এসব কাজে তারা স্থানীয়ভাবে কখনো কোনো সমস্যায় পড়েনি। সরকারের যথাযথ নির্দেশনা তারা পালন করেছেন।’
সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক, ব্যবস্থাপকসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সেচ মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ১৯৯৯ সালে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেল হেড অয়েল ডিপো স্থাপন করে। এর পশ্চিম পাশেই বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের ৩০ জুন শেষ হলেও সংশোধন করে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।