নভেম্বর ২৫, ২০২৪

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। বিশ্বের পাঁচটি দেশকে পেছনে ফেলে র‌্যাংকিংয়ের ৪১ নম্বর থেকে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বেসেল এন্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত বছরও (২০২২ সাল) এ সূচকে আট ধাপ উন্নতি হয়েছিল বাংলাদেশের।

এএমএল সূচক অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে হাইতি, চাঁদ, মিয়ানমার এবং কঙ্গো। আর সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হচ্ছে আইসল্যান্ড। দেশটি এএমএল সূচকের র‌্যাংকিংয়ে ১৫২ নম্বরে অবস্থান করছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এন্টি মানি লন্ডারিং সূচকে যথাক্রমে ২৭, ১১৯ এবং ১৪০তম স্থানে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ সরকারে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত জনবল ও অর্থের সংস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্নেন্স পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এএমএল সূচক নির্ধারণ করে আসছে। এগুলো হচ্ছে- মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিপালন, ঘুষ ও দুর্নীতি, আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং আইনগত রাজনৈতিক ঝুঁকি।

এপিজি’র মিউচ্যুয়াল ইভালুয়্যেশন রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ এফএটিএফ এর ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে ৮টিতে কমপ্লায়েন্ট, ২৭টিতে লার্জলি কমপ্লায়েন্ট এবং ০৫টিতে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে। এফএটিএফ এর ৪০টি সুপারিশের সবকটিই বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...