

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরার দুটি আসনে ১১ প্রার্থীর মধ্যে আটজনই জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী মোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের এ জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন দুটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করে দুটিতেই জামানত হারিয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরার দুটি আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী অংশ নেন। এ মধ্যে মাগুরা-১ আসনে পাঁচজন ও মাগুরা-২ আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ দুটি আসনে ১১ জনের মধ্যে আটজনই জামানত হারিয়েছেন।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন, মাগুরা-১ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন (প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৯৭৩), জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন সাইফ (প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৩৪৩), তৃণমূল বিএনপির সনজয় কুমার রায় রনি (প্রাপ্ত ভোট ৮৬৮ ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের কে এম মোতাসিন বিল্লা (প্রাপ্ত ভোট ৬৫৪)। এ আসনে ভোটের শতকরা হার ৫০.০১ শতাংশ।
অপরদিকে মাগুরা-২ আসনে জাতীয় পাটির মো. মুরাদ আলী (প্রাপ্ত ভোট ১৩ হাজার ২৬২), স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিয়ার রহমান (প্রাপ্ত ভোট ৬ হাজার ৪৪ ),বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন (প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ১২৮), তৃণমূল বিএনপির মো. আখিদুল ইসলাম (প্রাপ্ত ভোট ৬৩৪) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আসাদুজ্জামান (প্রাপ্ত ভোট ৪১৪)। এ আসনে ভোটের শতকরা হার ৪৭.২৮ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, মাগুরা-১ আসন থেকে জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট এবং মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীরেন শিকদার এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।