দুই বছর আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছেন এই অভিনেতা। তবে অনেক সদস্যের জন্য নিজের মতো করে কাজ করতে পারেননি তিনি।
কারণ হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন, কাজ না থাকলেও এ সমিতিতে অনেকে সদস্য হয়ে আছেন যাদের ভোটের সময় শুধু দেখা মেলে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘শিল্পী সমিতিতে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোটার আছেন, যাদের আমিও চিনি না, অন্য অনেকেও চেনেন না।
অথচ তারা শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্য। ভোট প্রদান করেন, নির্বাচনও করেন। আর এ কারণে সিনিয়র শিল্পী ও প্রকৃত শিল্পীরাও সমিতিতে আসতে চান না। আসলে একবার যদি পূর্ণ সদস্য দিয়ে দেওয়া হয়, তখন বাদ দেওয়াটা মুশকিল।
তিনি বলেন, আমার কথা হচ্ছে, তারা থাকুন। সহযোগী হয়েই হোক। ভোটাধিকার না থাকুক। শুধু ভোটাধিকার থাকার কারণে নির্বাচনের সময়ে এরা বিশাল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয়। সব পক্ষের কাছ থেকে তারা টাকা নেন।
আমি আসলে সংখ্যাটা উল্লেখ করতে পারব না। আমি দূরে থাকতে চাই। আমি যখন এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করলাম, তখন এসব থেকে আমাকে অন্যরা দূরে রাখা শুরু করেন। আমিও এসব নিয়ে তাই আর মাথা ঘামাতে চাই না।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, যাদের কাজ নেই এবং যারা এই সমিতির সদস্য হওয়ার যোগ্যতাই রাখেন না, তাদেরই সমিতি নিয়ে আগ্রহ বেশি। সেই সঙ্গে তাদেরই বেশি দাপট। এই সংগঠন তাদের প্রধান পরিচয়। প্রকৃত শিল্পীদের আগ্রহ সহযোগীদের চেয়ে অনেক কম।
প্রকৃত শিল্পীদের তো সমিতির পরিচয় লাগে না। তাদের এমনিতেই সবাই চেনেন, এক নামেই জানেন। সমিতি বরং প্রকৃত শিল্পীদের কারণে আলোকিত-আলোচিত হয়।