নভেম্বর ১৬, ২০২৪

আগামী ২৯ মার্চ ভূমি সংক্রান্ত মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। যেখানে ভূমি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। ভূমি সেবা অ্যাপ থেকে নাগরিকরা তাদের জমির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ, অবস্থান ও পরিমাপ তাৎক্ষণিকভাবে পাবেন।

বৃহস্পতিবার (২মার্চ) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারের অডিটোরিয়ামে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘ভূমি ব্যবস্থাপনায় সাম্প্রতিক উদ্যোগ ও নাগরিক অধিকার’ শীর্ষক সংলাপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এর সভাপতিত্বে সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। সংলাপে মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

সংলাপে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর বিচারাধীন মামলার প্রায় ৬০ শতাংশই জমিজমা সংক্রান্ত। এ বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভূমি ব্যবস্থার অটোমেশন, ডিজিটাল ভূমি জরিপ, চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান, ভূমি রেকর্ড আধুনিকীকরণ ইত্যাদি। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এ সব সুবিধা সম্পর্কে অবগত নন।

সংলাপের শুরুতে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নাগরিক প্ল্যাটফর্ময়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মূলত পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে কাজ করে আসছে যেখানে রয়েছে ভূমিহীন মানুষের অধিকার, কৃষকের অধিকার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং নারীর অধিকার। সে চিন্তা থেকেই এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

সংলাপের মুখ্য বক্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন যে, বাংলাদেশে পূর্বে যে জরিপের মাধ্যমে খতিয়ান করা হতো তা ছিল হাতে লেখা। এর ফলে অনেক ভুল-ভ্রান্তির এবং প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এসব প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার জমির শিটকে ডিজিটালাইজ করা হয়।

তিনি বলেন, আগামী ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ভূমি সংক্রান্ত মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। যেখানে ভূমি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। ১৪ এপ্রিল থেকে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে খাজনা দেওয়াও অনলাইনে করা হবে। ফলে সেবা গ্রহণকারীরা যেকোনো স্থানে বসে খাজনা প্রদান করতে পারবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...