

আগামী ২৯ এপ্রিল শেষ হচ্ছে হজের ভিসার আবেদনের সময়। কিন্তু এখনও ৮০ শতাংশ হজযাত্রীই ভিসার জন্য আবেদন করেননি। চারদিনের মধ্যে বিশাল সংখ্যক এই হজযাত্রীদের ভিসার জন্য আবেদন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ফলে হজের ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর আবেদন করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের বেশিরভাগ এখনও ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা অন্যতম কারণ। বাকি চারদিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীদের ভিসার আবেদন করাও সম্ভব নয়। পুরো বিষয়ে সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি। আশা করছি কিছুদিন হয়ত বাড়তে পারে।
২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ অনুযায়ী- ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়ে হজযাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিলেও কিছু এজেন্সি বাড়ি ভাড়া করার ব্যাপারে ইচ্ছাকৃতভাবে গড়িমসি, ২৮ হাজার হজযাত্রীর মুজদালিফায় যাওয়া অনিশ্চয়তা, হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার জন্য এজেন্সির প্রতিনিধিদের ভিসা না পাওয়া, মক্কা-মদিনার বাড়িভাড়ার টাকা পাঠালেও আইবিএন অ্যাকাউন্টে না পাঠানোয় বাড়ি ভাড়া করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব চ্যালেঞ্জর মুখে চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা। এসব সংকট কাটাতে কার্যত কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও এসব এজন্য হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় একে অপরকে দোষারোপ করছে।
গত বছরের নভেম্বর মাসে ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, এই বছরের ১ মার্চ থেকে পবিত্র হজ পালনের ভিসা ইস্যু শুরু হবে এবং ২৯ এপ্রিল ভিসা আবেদন করা যাবে।
কিন্তু দেড় মাসে ভিসা আবেদন করেছে মাত্র ১৬ হাজারের মতো। আবার ৮০ শতাংশ হজযাত্রী এখনো ভিসার জন্য আবেদন করেননি।