নভেম্বর ১৫, ২০২৪

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের অনিশ্চয়তার করণে দেশটির পুঁজিবাজার ছেড়ে গিয়েছিলেন অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী। তবে সেই অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার পর আবারও পুঁজিবাজারে ফিরতে শুরু করেছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

ভারতের দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক সংবাদে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, তৃতীয় মেয়াদে মোদি সরকারের সংস্কার ও আর্থিক প্রবৃদ্ধির গতি বহাল থাকার প্রত্যাশা থেকে বিনিয়োগকারীরা ভারতের পুঁজিবাজারে ফিরতে শুরু করেছে।

সংবাদে বলা হয়, চলতি মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত সময়ে ভারতের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ১২ হাজার ১৭০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছে।

ভারতে নির্বাচনকেন্দ্রীক অনিশ্চয়তার মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি-মে মাস পর্যন্ত সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতের পুঁজিবাজার থেকে ৬০ হাজার ২৯ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। আলোচ্য এই সময়ে বিদেশিরা বিনিয়োগ করেছে ৩৬ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিদেশিরা বিনিয়োগের চেয়ে বেশি উত্তোলন করে।

ধারণা করা হয়েছিল, বিজেপি এবারও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। শেষমেশ তা হয়নি। বিনিয়োগকারীরা সব সময় কেন্দ্রে স্থায়ী ও শক্তিশালী সরকার চায়। সংস্কার বা নীতি নিয়ে যেন কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্যই শক্তিশালী সরকার তাদের কাম্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পরামর্শক সংস্থা ফিডেলফোলিয়োর প্রতিষ্ঠাতা কিশলয় উপাধ্যায় ভারতের দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন, বাজার মনে করছে, সরকার স্থিতিশীল হবে। মোদি সরকারও আগের সংস্কারমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। যদিও পুঁজির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

ব্যাপক টানাপোড়েনের মধ্যে গত মাসের শেষ দিকে ভারতের পুঁজিবাজারের মূলধন পাঁচ লাখ কোটি ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। বিএসই ও এনএসই স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের মোট মূল্য পাঁচ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। চলতি মাসে বাজারের মূল সূচক সেনসেক্স ৭৭ হাজার পয়েন্টের ঘর স্পর্শ করেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র, হংকং ও জাপানের মতো বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর কাতারে উঠে এসেছে ভারত।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...