গত সপ্তাহে কিছুটা স্থিতিশীল ছিল ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন। বেড়েছে বাজার মূলধন ও প্রধান সূচকও। তবে লেনদেন কমেছে তালিকাভুক্ত ২১ ক্যাটাগরির মধ্যে ব্যাংক, বস্ত্র, টেলকো ও ফার্মাসহ ১৩টি খাতের প্রতিষ্ঠানের। আর বিনিয়োগকারীদের নজর কাড়ায় গত সপ্তাহে দাপট ছিল বীমা খাতের।
অর্থনীতির অন্যতম ভীত দেশের পুঁজিবাজার। সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যেই কোম্পানিগুলো প্রকাশ করছে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন। এতে পাওয়া যাচ্ছে লাভ-লোকসানের হিসাব।
এরই মধ্যে মোটামুটি স্থিতিশীল একটি সপ্তাহ পার করেছে ঢাকার পুঁজিবাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এসে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৯ পয়েন্ট, আর বাজার মূলধন বেড়েছে ২৮৬৯ কোটি টাকা। শেয়ার হাতবদলের সংখ্যাও ছিল ঊর্ধ্বমুখী।
খাতভিত্তিক লেনদেনে দেখা যাচ্ছে, গত সপ্তাহে আবারও পুঁজিবাজারে মুখ থুবড়ে পড়েছে ব্যাংক খাত। তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের দৈনিক গড় লেনদেন ৯৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা থেকে ৬৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ, সপ্তাহ ব্যবধানে কমেছে ৩২.৫৫ শতাংশ।
এ সময়ে ফার্মা ও কেমিক্যাল খাতের ৩৪টি কোম্পানির লেনদেন কমেছে ২৭.২৩ শতাংশ। তবে জ্বালানি খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ২৪.১৯ শতাংশ। সাধারণ বীমা খাতের ৪৩ প্রতিষ্ঠানের ১৩৯.১২ শতাংশ, আর ৩৯.৯৩ শতাংশ বেড়েছে জীবন বিমার ১৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন।
সপ্তাহজুড়ে দাম বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বীমা খাতের ছিল ৭টি। শীর্ষ ৫ কোম্পানি হলো শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
দাম কমতির তালিকায় থাকা শীর্ষ ৫ কোম্পানি ছিল: সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, আরামিট সিমেন্ট লিমিটেড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড ও অ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।