শেয়ারবাজারে ২০২২ সালের ব্যবসায় ২৪টি ব্যাংকের পর্ষদ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। যেগুলো প্রদানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি লাগবে। এই সুযোগে বোনাস ঘোষণা দেওয়া ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আনছে কমিশন। যেগুলোর বিনিয়োগ সীমার অনেক নিচে বা তুলনামূলক সক্ষমতার কম বিনিয়োগ রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ি, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫% ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০% শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক এর ধারে কাছেও নেই। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে থাকে।
জানা গেছে, শেয়ারবাজারের চলমান মন্দাবস্থা উত্তোরনে কমিশন বোনাস শেয়ার দেওয়া ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনছে। বিশেষত যেসব ব্যাংক বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। যারা নতুন করে বিনিয়োগ করছে বা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, সেসব ব্যাংককে বোনাস শেয়ার প্রদানে অনুমতি দিচ্ছে বিএসইসি।
এরইমধ্যে বোনাস শেয়ারের অনুমতি পাওয়া ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করেছে। যার ইতিবাচক প্রভাব মঙ্গলবার (১৬ মে) শেয়ারবাজারে পড়েছে।
গত দুই দিনে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বোনাস শেয়ার প্রদানে অনুমতি দিয়েছে বিএসইসি।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশন নিয়মিতভাবে ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি তদারকি করে। কিন্তু অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতার বা বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। এরমধ্যে যেসব ব্যাংক বোনাস শেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, সেগুলোকে বিনিয়োগ সীমা অনুযায়ি বিনিয়োগের আহবান করছি।