নভেম্বর ১৮, ২০২৪

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর আদালতের স্পেশাল জজের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে যেসব পুকুর বা জলাশয়, ইকো রিসোর্টসহ যা কিছু আছে সব কিছুই ক্রোক করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্রোক আদেশ জারি করে। ক্রোক আদেশের পর সোমবার সাভানা পার্ক পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী কৃষিজমি ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গোপালগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও পুকুর ও জলাশয়গুলোর জন্য জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। আর জেলা প্রশাসককে সার্বিক সহযোগিতার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, সবাইকে নিয়ে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার পার্কটি দেখতে এসেছি। আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে পার্কের সার্বিক সহযোগিতা করব। আদালত শুধু ক্রোক আদেশই দেননি পার্কের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও দিয়েছেন। তাই এখানে ঘুরে দেখলাম কী কী সুযোগ সুবিধা আছে এবং একটি সম্যক ধারণা নিলাম।

তিনি বলেন, এখন আমরা এটাকে সচল করব। এখানে পুকুর আছে ফলের গাছ আছে, কটেজ আছে, বিভিন্ন রাইড আছে। আমরা পরিকল্পনার করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিভাবে রাজস্ব বৃদ্ধি করা যায় সে ব্যবস্থা করব। যাতে রাজস্ব আয় হয়, মানুষের চিত্ত বিনোদনের সুযোগ হয়। এটি চমৎকার একটা রিসোর্ট। ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা যাতে এখানে আসতে পারেন, থাকতে পারেন- সে ব্যবস্থাপনা কি হবে তা আমরা পরিকল্পনা করে সিদ্ধান্ত নেব। তাই আমাদের সার্বিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আজকে আমরা এখানে এসেছি।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফারহানা জাহান উপমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন, গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (শস্য) সঞ্জয় কুণ্ডু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...