বাংলাদেশ ও ভারত, দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। বিনোদন জগত থেকে রাজনীতিতে অংশ নিয়ে ২০১৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন মিমি।
পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে জন্ম নেওয়া এই অভিনেত্রীর বয়স ৩৬ ছুঁই ছুঁই। অথচ এখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি। আর বিয়ে নিয়ে তার তেমন কোনো আগ্রহ নেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সিঙ্গেল লাইফ খুব বেশি উপভোগ করেন। তাকে সঙ্গ দেয় প্রাণপ্রিয় পোষ্যরা। কাজেই তাকে কোনোরকম একাকীত্ব গ্রাস করে না, শুধু ঘুমিয়েই আনন্দে জীবন কাটাতে চান অভিনেত্রী।
মিমি বলেন, ‘এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় না, আমার একটা বিয়ে হোক, সংসার করব। আমি নিজেই পরিপূর্ণ। স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় যদি কেউ একবার একা থাকা শিখে যায়, তাহলে তার থেকে শক্তিশালী নারী আর কেউ নেই। নিজের মতো করে জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমার শোয়ার ঘর আর পোষ্য সারমেয় ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও থাকতে চাই না আমি। ওদের মুখ দেখে ঘুমাতে যাই, ওদের মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠি। এর বাইরে কিচ্ছু চাই না আমি।’
কিছু মানুষের আচার আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে ঔদ্ধত্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, রাস্তায় লোকজনদের ওপর ঔদ্ধত্য আচরণ করে অনেকে বান্ধবী পটাতে চায়। পূজায় পৌরুষের বহর যেন আরও বেড়ে যায়! সাঁ করে জোরে বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যায়! এই পুরুষই প্রেম করে বিয়ের পরে অত্যাচারী হয়ে ওঠে।’