আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রতারক দল, আরেফি আর সারওয়ার্দী দুই বাটপারকে ভুয়া বাইডেনের বন্ধু বানিয়ে প্রতারণার নাটক সাজিয়েছে বিএনপি। চোরাগুপ্তা ভাষণ দিয়ে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। ভাষণ দিয়ে সরকার উৎখাতের জন্য আরেফদের ভাড়া করে এনেছে বিএনপি। এমন প্রতারকদের কাছে তাদের হতে গণতন্ত্র মানবাধিকার, জনগণ নিরাপদ নয়।
আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভা সিলেট থেকে শুরু হবে। সেখানে আপনারা দলে দলে যোগ দেবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বলা হচ্ছে জেলে থাকা আট হাজার নেতা-কর্মীদের (বিএনপি) মুক্তি দেয়ার জন্য। তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, আমরা তাদের বক্তব্যে নিন্দা জানাতে পারি না, তবে তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। তারা খোঁজখবর নিয়ে বক্তব্য দেবে এবং বক্তব্যে সংশোধন করবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব, সতর্ক থাকব। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা চোরাগোপ্তা হামলায় আতঙ্কিত নয়, আমরা ভয় পাই না। রাজনীতিতে কালোমেঘ আসে, আবার কেটেও যায়।
তিনি বলেন, দেশ এখন কঠিন সময়ে পার করছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতেও যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। তাই প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস শুরু হয়েছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপি এখন অবরোধের নামে সাধারণ মানুষের ওপর-জুলুম নির্যাতন শুরু করেছে।
বিএনপি বিচারকের বাসভবনে হামলা, পুলিশ, সাংবাদিক, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশবাসীকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। তারা এখন চোরাগোপ্তা হামলা করে সরকার পতন করতে চায়।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে- দেশবাসী আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জয়ী করতে উদগ্রিব হয়ে আছে।
রোববার প্রায় ২৫টি যানবাহনে বিএনপি আগুন দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির অবরোধে বহু পুলিশ, সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছে। অন্যায় যারা করেছে তাদের কোনোভাবে ছাড় দেয়া হবেনা। যারা সন্ত্রাস করছে, আগুন নিয়ে জানমালের ক্ষতি করছে তারা কখনও জনগণের ভালো চায়না। এই সন্ত্রাসী হামলা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিহত করবে।