ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ এক দফা দাবিতে ডাকে ষষ্ঠ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে বুধবার (২২ নভেম্বর)।

এদিন সকাল ৬টা থেকে, যা শেষ হবে আগামী শুক্রবার সকাল ৬টায়। এদিকে অবরোধ শুরুর আগেই মঙ্গলবার রাতে রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

গত সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। আমি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক সব দলকে এই কর্মসূচি পালন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

এই কর্মসূচিকে সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ভার্চুয়ালি রিজভী বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপির ৪৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি দল ও আওয়ামী লীগের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৮০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’

এর আগে মহাসমাবেশে বাধা ও নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। গত ৩১ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে প্রথম দফায় সারা দেশে তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। তিন দিনের অবরোধের শেষ দিন ২ নভেম্বর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ফের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

সেই ঘোষণা অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ শুরু হয়। এরপর তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ৮ নভেম্বর শুরু হয়ে ১০ নভেম্বর সকাল ৬টায় শেষ হয়। এরপর চতুর্থ দফার অবরোধ শুরু হয় ১২ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে, যা শেষ হয় মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৬টায়। পরে ১৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি। এরপর নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের কর্মসূচি শেষ হয় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৬টায়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...