![](https://thebiz24.com/wp-content/uploads/2023/12/bnp-1-202311050607431-20231203060010_copy_700x400.jpg)
![](https://thebiz24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বাতিল, বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপির দশম দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে। চলবে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত। একই সঙ্গে ১০ ডিসেম্বর (রোববার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এদিকে অবরোধের সমর্থনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মশাল মিছিল করেছেন দলটির নেতারা। মঙ্গলবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় মশাল মিছিল করেন দলটির নেতারা। কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অবরোধের সমর্থনে মশাল মিছিল করা হয়।
গতকাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, দুয়েকদিনের মধ্যে তাদের আসন ভাগাভাগি শেষ হয়ে যাবে। আসলে এটি হচ্ছে ভাগাভাগির নির্বাচন। তারা যাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ভাগিয়ে নিয়ে এসেছে, আর তাদের তথাকথিত জোটের যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদেরকে হালুয়া রুটির কিছু অংশ দিয়ে ৭ জানুয়ারি তারা একটা নির্বাচনী ফলাফলের ঘোষণা দেবেন। সেটি পাঠ করবে নির্বাচন কমিশন। সেই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। সেই কথাটাই বলার চেষ্টা করছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, এখানে জনসাধারণ কোনো ফ্যাক্টর নয়। এখানে জনসাধারণের ইচ্ছাও কোনো ফ্যাক্টর নয়। ফ্যাক্টর হচ্ছে শেখ হাসিনার ইচ্ছা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে চান এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে চান, এটাই হচ্ছে বড় কথা। এজন্য নির্বাচন প্রাণবন্ত করার চেষ্টা করছেন ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন গংরা। এখানে জনসাধারণের সঙ্গে কমিটমেন্ট ও নীতি-নৈতিকতা এগুলোর কোনো কিছুর দরকার নেই। এগুলোকে তারা কথার কথা বলে মনে করেন।
সারা দেশে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৫টি। এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত এক হাজার ৩৯৫ জনের বেশি কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মোট ৬৫ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে।