![](https://thebiz24.com/wp-content/uploads/2022/11/FB_IMG_1668702100888.jpg)
![](https://thebiz24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা এবং র্যাবের উপর গুলি ছুঁড়ার পেছনে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসা জড়িত আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে। এ ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে অস্ত্রের চালান ঢুকছে। পাশাপাশি জিরো পয়েন্টে বসবসারত রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন, অপহরণ এবং মাদক ব্যবসায়েও সংগঠনটি জড়িত বলে জানানো হয়েছে। রোহিঙ্গাদের তথাকথিত অধিকার আদায়ে কাজ করা সশস্ত্র সংগঠনটি সরাসরি মায়ানমার সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট বলেও জানা গেছে। মায়ানমার সেনাবাহিনীর গোয়েন্দাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে সংস্থাটি জড়িত বলে জানানো হয়েছে।
তাই তুমব্রু সীমান্তে অতিদ্রুত একটি পুলিশ ক্যাম্প বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। পাশাপাশি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্হানরত রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশও করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ১৫০ জনের একটি টিম গঠন করে রেখেছে, যাদের কাজ হল রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে সেসব লোকদের খুঁজে হত্যা করা যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে।
এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতাদের হত্যার হার বেড়েছে।চলতি বছরের আগস্ট – অক্টোবরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩০টি সশস্ত্র সংঘর্ষের সাথে আরসার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। ভবিষ্যতে সংগঠনটি বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো গোয়েন্দা প্রতিবেদনটিতে সতর্ক করা হয়েছে।
(সোর্স -DRF)