শ্রম আইন লঙ্ঘনে মামলার কার্যক্রম চলতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার পরিচালকের বিরুদ্ধে কোনো বাধা নেই। এ সংক্রান্ত মামলা বাতিলের রুল খারিজের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
রোববার (২০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যর আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিষয়টি জানিয়েছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ উপস্থিত ছিলেন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
আপিল বিভাগের আদেশের পর ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদেরকে শুনানির জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। আজকের আদেশে আমরা অত্যন্ত অখুশি। আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগের আজকের আদেশের ফলে শ্রম আদালতে মামলা চলতে বাধা থাকল না। আগামী মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) থেকে শ্রম আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিলে রুল খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদনের শুনানি শেষ হয়।
গত ৭ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ড. ইউনূস।
গত ৩ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল শুনানির জন্য বেঞ্চ পরিবর্তন করে নতুন বেঞ্চে এই পাঠান আপিল বিভাগ।
ইউনূসের মামলা বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।
আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন।