খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি তিন মাসের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বাড়ি বুঝে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে গণপূর্ত সচিবকে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত বাড়ি নিয়ে করা রিটের জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য হাইকোর্ট ১০ মার্চ দিন ধার্য করেন। তবে ১০ মার্চ রায় ঘোষণা না করে পিছিয়ে ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু দুদকের আইনজীবীর সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ মার্চ নতুন দিন ধার্য করেন আদালত। আবার সেটি পিছিয়ে ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন। পরে সেটি পিছিয়ে রায়ের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ঠিক করেন আদালত।
আদালতে এ দিন সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। আর রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়ি-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, মামলার নথি থেকে জানা যায়, সালাম মুর্শেদীর গুলশানের যে বাড়িতে বসবাস করেন তা পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। সালাম মুর্শেদী বাড়িটি দখল করে বাস করছেন।