নভেম্বর ৮, ২০২৪

দেশের মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে চাইলে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

মেজবাউল হক বলেন, রিজার্ভে ডলার রেখে বসে থেকে লাভ নেই। দেশের মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে চাইলে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে রিজার্ভের অর্থ খরচের কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আশা করছি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আগামী ডিসেম্বরে পাবো। আইএমএফের দেওয়া শর্তের বেশির ভাগই পূরণ করা হয়েছে। বিশেষ করে সুদের হার বৃদ্ধি থেকে শুরু করে অন্যান্য শর্ত বাংলাদেশ ব্যাংক পূরণ করেছে। কেবল রিজার্ভ এবং রাজস্ব সংশ্লিষ্ট শর্ত পূরণ হয়নি। অর্থ পাচার রোধ এবং সুশাসন নিশ্চিতে সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক একযোগে কাজ করছে। কাজেই অর্থ পাচার বন্ধে আইএমএফের শর্তের দরকার নেই। আমরা নিজেরাই এটি বন্ধ করার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, আপাতত রিজার্ভ বৃদ্ধি ও রাজস্ব আহরণে জোর দিতে বলেছে আইএমএফ। ইতোমধ্যেই শর্ত মেনে সিঙ্গেল এক্সচেঞ্জ রেট চালু করা হয়েছে। কিছু শর্ত পূরণ করা সময়সাপেক্ষ। তবে সেক্ষেত্রেও কাজ চলছে। অবস্থা বুঝে ধাপে-ধাপে অর্থনৈতিক পলিসিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে ডিসেম্বরের আগে মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।

এদিকে বেশ কিছু বিষয়ে নির্দিষ্ট শর্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে আইএমএফ। ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পায় বাংলাদেশ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...