নভেম্বর ২৮, ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে পাকিস্তান। দেশটি সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ইতোমধ্যেই রোডম্যাপ ও কৌশলপত্র প্রস্তুত করে ফেলেছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তারপর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে তৎপর হয়েছে দেশটি। দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে পাকিস্তানে উচ্চপর্যায়ের কিছু বৈঠক করা হচ্ছে। এসব বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নিজেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, ঢাকায় দায়িত্ব পালনকারী রাষ্ট্রদূতসহ পাকিস্তানের কূটনীতিকরা দেশটির সরকারের জন্য একটি কৌশলপত্র তৈরি করেছেন। ঢাকায় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য এই রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে উন্নয়ন ঘটানো যায়, সে কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে অতীতে দায়িত্বপালন করা পাকিস্তানের সাবেক হাইকমিশনার এবং অবসরপ্রাপ্ত অন্যান্য কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভের মুখে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের সমাপ্তি ঘটে। হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়াকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার সূচনা হিসেবে দেখছে পাকিস্তান।

হাসিনার শাসনামলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে নানা টানাপোড়েন ছিল। যদিও ইসলামাবাদ বারবারই ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছে, কিন্তু হাসিনা সেই প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ মুজিবের কন্যা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তিনি প্রায়ই পাকিস্তানের নানা বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে পরামর্শও করতেন। এ ছাড়া পাকিস্তান বিরোধিতাকে হাসিনা তার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেও নিয়েছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...