এশিয়ান গেমস হকির দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আশা জাগিয়েও হার মেনেছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) হ্যাংজুর গংশু ক্যানাল স্পোর্টস পার্ক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে লিড নিয়েও ৫-২ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
এদিন ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই ১৯ মিনিটে পুরস্কর ক্ষিসা মিমো পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ৩০ মিনিটের মাথায় পাকিস্তানের আফরাজ ফিল্ড গোল করে সমতা ফেরান। ৪০ মিনিটের মাথায় মুহাম্মদ শাহজাইব খানের গোলে ব্যবধান হয় ২-১।
৪৩ মিনিটে পাকিস্তানের মুহাম্মদ আম্মাদ গোল করে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলেন। অবশ্য ৪৬ মিনিটে বাংলাদেশের মো. মিলন হোসেন গোল করে ব্যবধান ৩-২ করে আশা জাগান। কিন্তু ৪৮ ও ৫৭ মিনিটে আরও দুটি গোল হজম করে ৫-২ ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে আশরাফুল-মিমোরা।
গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জাপানের কাছে ৭-২ গোলে হেরেছিল। আজ পাকিস্তানের কাছে ৫-২ গোলে হারলো। প্রস্তুতি ভালো হলেও পার্থক্য কোথায় হচ্ছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ দলের মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘পার্থক্যের বিষয়ে আগেও বলেছি, এখনও বলছি। পার্থক্য হলো অভিজ্ঞতায়। ওরা বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে। বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলে ওদের যে আত্মবিশ্বাস অর্জিত হয়েছে সেটা আমাদের হয়নি। কঠিন পরিস্থিতিতে ওরা দুই-এক সেকেন্ডের মধ্যে যে সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেটা আমরা পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে তারা খেলার সুযোগ পায়। বড় বড় দেশে গিয়ে অনুশীলন করে, খেলে আসে। সে কারণে তাদের অভিজ্ঞতা বেশি। বড় বড় দলের বিপক্ষে খেললে ঘাটতিটা বোঝা যায়। আমরা যখন বড় দলের বিপক্ষে খেলি তখন আমরা আমাদের ঘাটতি ও দুর্বলতাটা বুঝতে পারি। কিন্তু বুঝতে বুঝতে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যায়। এরপর এক বছর ছয় মাস, সাত মাস কোনো খবরই থাকে না।’
হকিতে কিভাবে ভালো করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফুল বলেন, ‘ভালো প্রোফাইলের একজন কোচ দিয়ে যদি আমাদের অনুশীলন করানো যায় তাহলে হকিতে ভালো করা সম্ভব।’
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গ্রুপপর্বের তৃতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ৩০ তারিখ খেলবে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে। আর শেষ ম্যাচে ২ অক্টোবর ভারতের মুখোমুখি হবে।