বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিস্মিত হয়েছেন বাংলাদেশের জন্য মনোনীত ১৪ দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত। আজ মঙ্গলবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ নিয়ে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন সে পথেই আছে বাংলাদেশ। অনেক রাষ্ট্রদূতই বাংলাদেশে মিশন খোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন ।
বতসোয়ানার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গিলবার্ড সাইমন ম্যাঙ্গলি, কম্বোডিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কয়কুং, চেক প্রজাতন্ত্রের অনাবসিক রাষ্ট্রদূত ডঃ ইলিছকা জিগোভা, গাম্বিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মুস্তফা জাওয়ারা, হাঙ্গেরির অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ইস্টভান স্যাভো, জামাইকার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত জেসন কে. হল, লুক্সেমবার্গের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত পেগী ফ্রান্টজেন, মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গ্যানবোল্ড ডামবাজাব, উত্তর মেসিডোনিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত স্লোবোডান জুনব, পেরুর অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত জাবিয়ার ম্যানিউল পাওলিনিচ ভেলারডি, স্লোভাক প্রজাতন্ত্রের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রবার্ট মেক্সিয়ান, স্লোভেনিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মাতেজা ভদেব ঘোষ, উরুগুয়ের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত আলবেরতো এ.গুয়ানি, ভেনেজুয়েলার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কাপায়া রদ্রিগেজ গনজালেজ সোমবার বিকালে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাঙালি মুক্তির এ মহানায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পরে তারা বেদীর পাশে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর বঙ্গবন্ধুসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা। এরপর রাষ্ট্রদূতরা বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে পরিদর্শন বইতে তারা সই করেন।
সেখানে গণমধ্যম ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন তারা। সেই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ তাদের দেশের জনগণের সংগে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাড়াতে তারা আগ্রহের কথা জানান। কেউ কেউ মিশন খোলার বিষয়েও আগ্রহ দেখান।
গাম্বিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মুস্তফা জাওয়ারা বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উন্নয়ন শীল দেশের তালিকায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে। আমরা পদ্মাসেতুসহ অবকাঠামো উন্নয়ন দেখে বিস্মিত। আমরা শিগগিরই বাংলাদেশ থেকেই মিশন পরিচালনা এবং বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চাই।
বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ পেরুর অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত জাবিয়ার ম্যানিউল পাওলিনিচ ভেলারডি বলেন, এটি আমার বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফর। ১০ বছর আগে বাংলাদেশকে আমি যে অবস্থায় দেখেছি এখন তার বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই রয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে বিকাল ৪ টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছালে জেলা প্রশাসন ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানানো হয়। পরে তারা এক নম্বর গেট দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা সমাধিসৌধের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ জোবায়ের আহমেদ, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক সহ বিভিন্ন দূতাবাসের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।