ডিসেম্বর ২, ২০২৪

দেশে এখন বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করা হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ইকনোমিক রিপোটার্স ফোরামে (ইআরএফ) আয়োজিত নবায়নযোগ্যে দ্রুত রূপান্তর: দেশীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, এলএনজি আমদানি আর কত বাড়াবো? আমাদের একটা বাধ্যবাধকতা হয়েছে যে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে হবে। এটাতে যাওয়া ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কিছু নেই। আমরা বলে থাকি ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আনবো, কিন্তু প্রকৃতভাবে এটা যদি বাস্তবায়ন করা যায় দেখা যাবে আমাদের অর্জন ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এনার্জি সমস্যা হচ্ছে প্রাইমারি এনার্জি সমস্যা। বিদ্যুৎ না থাকলে গ্রাহক বিদ্যুৎ চাইতে পারবে, কারণ এটা দৃশ্যমান। কিন্তু একটা শিল্প কারখানা যখন গ্যাস পায় না তখনতো এটা দেখা যায় না, তখন তার প্রডাকশন যে পতন হবে সেটা দেখা যায় না। আমাদের এখন দৈনিক দরকার হচ্ছে ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাস। এখন আমাদের দেশীয় উৎপাদন এবং আমদানি মিলিয়ে আছে ৩ হাজারের কাছাকাছি। এক হাজার এমএমসিএফডি ঘাটতি আছে। এটা ক্রমাগত বাড়ছে, কারণ আমাদের উৎপাদন কমছে। আমরা চেষ্টা করছি নতুন কূপ খনন করে আরও কিছু গ্যাস পাওয়া যায় কি না।

তিনি বলেন, সরকারি ক্রয় উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এখন উপদেষ্টা বা সচিবকে চিনতে হবে না। দক্ষতা, আর্থিক সামর্থ ও অভিজ্ঞতা থাকলে অফিসে বসেই ব্যবসা করা যাবে। কাউকে চেনা জানার দরকার নেই। অর্থনৈতিক শৃঙ্খল মুক্ত করে জনগণের অধিকার জনগণকে ফেরত দিয়ে দিতে চাই।

আলোচনা সভায় ইকনোমিক রিপোটার্স ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, সিপিডির রিচার্স ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সেন্টার ফর এনভারমেন্ট অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিচার্সের (সিইপিআর) চেয়ারপারসন গৌরঙ্গ নন্দীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...