![](https://thebiz24.com/wp-content/uploads/2022/11/PM-Photo.jpg)
![](https://thebiz24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাস্তবমুখী নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম, দেশের প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করব। ফলে ২০০৯ সালের পর থেকে আমরা ২৮৬টি নতুন ফায়ার স্টেশন চালু করেছি। ২০০৯ সালের আগে দেশে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ছিল ২০৪টি। এ সংখ্যাকে আমরা ইতোমধ্যে ৪৯০টিতে উন্নীত করেছি।
আরও বেশ কিছু ফায়ার স্টেশন খুব শিগগিরই চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা এই বাহিনীর সদস্যদের বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ সুবিধা নিশ্চিত করতে ঢাকার অদূরে মুন্সিগঞ্জ জেলায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফায়ার একাডেমি’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, অগ্নিদুর্ঘটনাসহ প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সকল দুর্যোগ-দুর্ঘটনার বিষয়ে জনসাধারণকে আরো সচেতন করার লক্ষ্যে ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০২২’ উদযাপিত হবে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর একটি জরুরি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকল দুর্যোগে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সবার আগে তারা বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এই প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন সদস্য শহীদ হয়েছেন। তাদের আত্মবিসর্জনের এ ঘটনাই প্রমাণ করে, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা কতটা নিবেদিত।
প্রধানমন্ত্রী এই ১৩ জন বীর অগ্নি সেনাসহ বিভিন্ন সময় দেশের জানমাল রক্ষা করতে গিয়ে আত্মাহুতি দেওয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সব সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এই ১৩ বীর অগ্নি যোদ্ধাকে ‘অগ্নিবীর’ খেতাবে ভূষিত করেছে।
তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বমানের একটি আধুনিক ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ ও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কর্মদক্ষতা বিশ্বমানে উন্নীত হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স- এর কর্মীরা সাহস, সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন এবং নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ -এর সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।