রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠালেই আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি আরও আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্যাংকগুলো। এর ফলে বাড়তে শুরু করেছে প্রবাসীদের পাঠানো ডলারের পরিমাণ। চলতি মাসের প্রথম ২৭ দিনে প্রবাসীরা ১৬৪ কোটি ৯২ লাখ ডলার পাঠিয়েছে।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৪ কোটি ৯৩ লাখ মার্কিন ডলার। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪৭ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, সংকট কাটাতে লোকসান দিয়ে বেশি দামে ডলার কিনতে পারছে ব্যাংকগুলো। প্রবাসী আয়ে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে ব্যাংকগুলো বাড়তি ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারছে। এখন বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স আসলে মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা মিলছে। ফলে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে এখন পাওয়া যাচ্ছে ১১৬ টাকার মতো। আগে যেখানে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারে মিলতো সর্বোচ্চ ১১১ টাকা। যার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে কমেছিল। ডলার সংকটের কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ে বড় হোঁচট খায়। ওই মাসে গত সাড়ে ৩ বছর বা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় আসে বাংলাদেশে, যা পরিমাণে ১৩৪ কোটি ডলার। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।
বর্তমানে প্রবাসীদের আয়ে ব্যাংকে এক মার্কিন ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এর ওপর সরকার আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়। এখন এক ডলারে পাচ্ছে ১৩ টাকা ২৬ পয়সার কিছু বেশি। এখন এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো দেবে আরও ২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তি দাম। ফলে রেমিট্যান্সের এক ডলারে ১১৬ টাকার কিছু বেশি।