পেসমেকার বসানোর পর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালদো জিয়া এখন সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার (২৩ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার যে অসুখগুলো আছে এর অনেকটাই নিরাময়যোগ্য না। ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। দেশের হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই তিনি এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন।
তিনি বলেন, এর আগে বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার অনুমতি দিতেও সরকার কার্পণ্য করেনি। সরকারের আন্তরিকতার অভাব থাকলে সেটা সম্ভব ছিল না।
এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা চিকিৎসা নিয়ে যে অভিযোগ করছেন তাতে তাদের মানসিক ভারসাম্য ঠিক আছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। তিনি বলেন, ‘আশা করি চিকিৎসা নিয়ে তারা ব্যক্তিগত আক্রমণ করবে না।’
গত ২১ জুন রাত সাড়ে ৩টায় খালেদা জিয়ার হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর।
এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য।
ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে পরিবারের আবেদনে।