ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে পল্টন থানার পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ। আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমরা অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। তিনি একটা বাসায় পালিয়ে ছিলেন, সেখান থেকে আমরা গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করেছি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আমীর খসরু ৪ নম্বর আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন, আপনারা জানেন প্রকাশ্য দিবালোকে আমার পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার আরও অনেক পুলিশ ভাই ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন কোমায় চলে গেছেন। হাসপাতালে গেলে দেখা যায় এসব পুলিশ সদস্যদের পরিবার ও বাচ্চাদের কান্না ও আহাজারি।

জানা যায়, আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার তার গুলশানের বাসা ঘিরে ফেলে ডিবি। এরপর তাকে ভেতর থেকে নিয়ে আসা হয়। পরে রাত ১টা ১৫ মিনিটে আমীর খসরুকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে ডিবিতে নেয়া হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এক বার্তায় জানিয়েছেন, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তুলে নিয়ে গেছেন।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলার এজাহারনামীয় আসামি রয়েছেন ১ হাজার ৫৪৪ জন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ ঢাকা শহরে নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।

খসরু ছাড়াও প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লা বুলু, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আরও অনেকে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...