ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) সকল ধরণের সহায়তা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে দীর্ঘ ১০ বছর অমিংমাসিত কিছু ইস্যু সমাধান করা হয়েছে, যা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিলো। আমরা সেই প্রতিবন্ধকতা সমাধান করে দিয়েছি।

রোববার (১২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বিজনেস সামিটের আয়োজন করেছে। প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন সাবেক গভর্নর ড. আতিয়ার রহমান। এ সময় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই পুঁজিবাজারের দুই ভাগ রয়েছে। একটি ডেবট মার্কেট, আরেকটি ইকুইটি মার্কেট। তবে আমাদের দেশে এখনো ডেবট মার্কেটে সমৃদ্ধ নয়। আমি আগেও বন্ড মার্কেটে এবং গতিশীল সেকেন্ডারি মার্কেট গঠনের লক্ষ্যে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নের বর্তমান সিস্টেম টেকসই নয়। আরিফ খান দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নের মডেল নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেখানে ৯৯ শতাংশ অর্থায়ন ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলো প্রদান করে থাকে। তারা স্বল্প মেয়াদী অর্থায়নের নিয়মে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়ন করছে। এটাই আমাদের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির মূল কারণ।

গভর্নর বলেন, এখন উদ্যোক্তারাও ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ( মূলধন  ) বাড়াতে ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউটগুলোর নিকট ছুটছেন। এতে করে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ পরিশোধের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নের ঝুঁকি মোকাবেলায় বিএসইসিকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি অরো বলেন, ঋণখেলাপি কমাতে আমরা উদ্যোক্তাদের ঋণের বদলে গ্যারান্টি দেব। আর উদ্যোক্তারা শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগ তুলবে। ব্যাংক গ্যারান্টি থাকলে বিনিয়োগকারীরা আশ্বস্ত হবেন, অন্যদিকে যারা টাকা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে খেলাপির মনোভাব কমে আসবে।

আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক শুধু নিয়ন্ত্রণই করেন না  বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা রয়েছে। ইতোমধ্যে আমানত সগ্রহের সুবিধার্থে নিদ্দিষ্ট সুদের হার তুলে দেওয়াসহ, পরিবেশ বান্ধব অবকাঠামো উন্নয়ন এবং কৃষি খাতকে উন্নয়ণে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নের তহবিল গঠন করেছি। আমি আশা করি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশ আগামী ২০৩৭ সালের আগেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে।

এ সময় প্যানেল আলোচক হিসেব শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান, ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...