ইরানের অভ্যন্তরে সাতটি অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এর আগে পাকিস্তানের অভ্যন্তরণে হামলা চালায় ইরান। এ নিয়ে দুই মুসলিম প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হামলার পর তেহরানকে সতর্কবার্তাও দিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে পাকিস্তান ইরানের সিস্তান-বালোচিস্তান প্রদেশে খুবই সুসংগঠিত এবং সুনির্দিষ্টভাবে সামরিক হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান সবসময় তার ভৌগলিক নিরাপত্তা, জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং এসব ইস্যুতে কখনও আপস করে না। আজকের হামলার মূল কারণও এটাই।
ইরানকে ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ দেশ উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আর ও বলা হয়, ‘আমরা ইরানকে অনুরোধ জানাচ্ছি, আজকের হামলার জবাবে তারা যেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরে পাল্টা কোনো হামলা আর না চালায়। ইরান যদি এ অনুরোধ না রাখে, তাহলে তার ফলাফল খুব খারাপ হবে এবং দুই ভাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক চরম উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছাবে।’
পাকিস্তান এবং ইরানের মধ্যে ৯০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। উভয় দেশই সীমান্ত বরাবর অশান্ত বেলুচ অঞ্চলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তবে সর্বশেষ ঘটনাটি দুই প্রতিবেশী শক্তির মধ্যে একটি বড় উত্তেজনা বৃদ্ধির লক্ষণ, যা মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতের মধ্যেই ঘটল।
সিএনএন বলছে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, সকালে (বৃহস্পতিবার) এ পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ইরানের একটি প্রদেশের ডেপুটি গভর্নরের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা বলেছে, ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের সারাভান শহরের কাছে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে পাকিস্তানের চালানো পাল্টা হামলার ব্যাখ্যা চেয়ে তেহরানে থাকা পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কূটনীতিককে তলব করেছে দেশটি। এর আগে পাকিস্তানে হামলার ঘটনায় ইসলামাবাদে থাকা ইরানি কূটনীতিককেও তলব করেছিল পাকিস্তান।