পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। একইসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কাছে পরিসংখ্যানগত তথ্যের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরি, কর আহরণে অটোমেশন চালু এবং আর্থিকখাত সংস্কারে সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে জানান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা।
আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পরে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এ কথা জানান।
সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন, পরিবেশ, বন্যা মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশেকে ঋণ সহায়তা বাড়ানোর জন্য এর কান্ট্রি ডিরেক্টরকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, বিগত ১৫ বছরের অপশাসন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আমরা নতুন যাত্রার সূচনা করেছি। ধ্বংসাবশেষ থেকে আমাদের নতুন কাঠামো তৈরি করতে হচ্ছে। ছাত্রদের যে স্বপ্ন রয়েছে তা পূরণে মনোযোগ দিতে হবে।
পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংককে কারিগরি সহায়তার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ বির্নিমাণে বিশ্বব্যাংকের দক্ষতার প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করতে সম্মত হন।
উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, জুলাইয়ে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এর ফলে ৫ আগস্টে পতন ঘটে হাসিনা সরকারের। এ আন্দোলনে প্রায় আটশ মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়।
এই আন্দোলনে নিহতের পরিবারগুলোকে সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সরকার জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করেছে বলে জানান উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ।
আবদৌলায়ে সেক বলেন, বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ঋণ এবং মঞ্জুরি দেবে। যত দ্রুত সম্ভব জরুরিভাবে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে, এমন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তারা।
আবদৌলায়ে সেক জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সব শহীদদের স্মরণ করেন ও তাদের পরিবার-স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানান।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন এবং ছাত্রদের ক্ষমতায়ন করতে হবে বলে জানান আবদৌলায়ে সেক।
চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য দুইশ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন অর্থায়ন করতে পারবে। বিশ্বব্যাংক বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদার ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।