নভেম্বর ৮, ২০২৪

চলমান বিশ্বকাপে অংশ নিতে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ভিসা পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। যদিও সব শঙ্কা কাটিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই ভারতে পা রাখে বাবর আজমরা। তবে প্রস্তুতি ম্যাচসহ ইতোমধ্যে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেললেও এখনও ভারতে পা রাখতে পারেননি দেশটির কোন সাংবাদিক। ভিসা জটিলতায় এখনও দেশেই অবস্থান করছেন পাকিস্তানের ৬০জন সাংবাদিক।

নেদ্যারল্যান্ডসের বিপক্ষে পাকিস্তান ম্যাচ জিতলেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতত ছিলেন না পাকিস্তানের নাগরিকত্বধীন কোন সাংবাদিক। শুধু ছিলেন মোহাম্মাদ বশির, যিনি পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম নিলেও এই মুহূর্তে আমেরিকার নাগরিক। ফলে অনলাইনেই গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নিতে হয় বাবর আজমকে। এমনকি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগেও দেশটির গণমাধ্যমকর্মীদের ভারতে পা রাখা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। এমন অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিসা জটিলতা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন তারা। বিসিসিআই আশাবাদী ১৪ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে ভিসা পেয়ে যাবেন পাকিস্তানের সাংবাদিকরা। আইসিসির এক প্রধাননির্বাহী পিটিআইকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভিসা জটিলতা প্রসঙ্গে পিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা আইসিসিকে বিষয়টি অবগত করেছি। গেল ৩ বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে জটিলতা চলছেই। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা হতাশ, কারণ আমাদের কোন সাংবাদিক এখানে নেই। কোন ভক্তও আসতে পারেনি।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে দেশকে উৎসাহ দিতে অনেক ভক্তই আসার জন্য মুখিয়ে ছিল, কিন্তু তারা আসতে পারেনি। বিশ্বকাপের মত আসরে সাংবাদিকদেরও বড় ভুমিকা রয়েছে। তারাও দেশে অবস্থান করছেন। তাদের উপস্থিতি পাকিস্তান দলকে উজ্জীবিত করবে কিন্তু সেটা এখনও হয়ে উঠেনি।

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নিজেদের দেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা হয় না ভারত-পাকিস্তানের। সবশেষ ২০১২-১৩ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয় দুই দল। এরপর শুধু আইসিসির বৈশ্বিক আসর ও এশিয়া কাপেই দেখা হয়েছে দুই দলের। ১৪ অক্টোবর আহমেদাবাদে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...