টানা চার দিন উদ্ধার অভিযানের পর টাইটানিকের কাছেই কোনো ভারী বস্তুর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন উদ্ধার কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মার্কিন কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে সিএনএন, দ্য টেলিগ্রাফসহ একাধিক পশ্চিমা গণমাধ্যম।
মার্কিন কোস্ট গার্ড তাদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানায়, একটি স্বয়ংক্রিয় অনুসন্ধান যন্ত্রের সাহায্যে ডুবে থাকা টাইটানিকের কাছেই নতুন কতগুলো ধ্বংসাবশেষের টুকরো পাওয়া গেছে। ধ্বংসাবশেষের ওই এলাকাটি এখন খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বয়ংক্রিয় অনুসন্ধান যন্ত্রটির বিষয়ে এর আগে উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার বলেছিলেন, সমুদ্রের যে এলাকাটির বরাবর ডুবোযানটি রওনা করেছিল সেই বরাবরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে যন্ত্রটি।
তিনি জানিয়েছিলেন, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটির অনুসন্ধান এবং উদ্ধার উভয় ক্ষমতাই রয়েছে।
গত রোববার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৮০০ মিটার গভীরে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে রওনা হয়েছিলেন পর্যটকেরা। তবে রওনা করার ৪৫ মিনিটের মধ্যেই মূল জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাঁদের বহন করা ওই ডুবোযানটির। এ অবস্থায় দলটিকে খুঁজে বের করতে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডুবোযানটিতে যে পরিমাণ অক্সিজেন মজুত ছিল তা নিয়ে বড়জোর ১০০ ঘণ্টা চলতে পারবেন পর্যটকেরা। এই সময় পার হয়ে গেলে নিশ্চিতভাবেই মৃত্যুর মুখোমুখি হবেন তাঁরা।
উদ্ধার অভিযান নিয়ে সরাসরি সম্প্রচার করা পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, ধ্বংস না হয়ে থাকলেও ডুবোযানটি নিখোঁজ হওয়ার চতুর্থ দিনে এসে সম্ভবত অক্সিজেনের মজুত প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
ডুবোযানটিতে ব্রিটিশ অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং, ফরাসি অভিযাত্রী পল হেনরি নারগেলেটসহ পাকিস্তানি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তাঁর ১৯ বছর বয়সী ছেলে সুলেমান পর্যটক হিসেবে অবস্থান করছিলেন। আর ডুবোযানটিতে পাইলট হিসেবে ছিলেন ওশানগেট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী স্টকশন রাশ।