ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

৪ আগস্ট ঢাকার একটি শুটিং বাড়িতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সামনে আসে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকদের অসদাচরণ, সহশিল্পীর কাছে অনৈতিক সুবিধা চাওয়া, শুটিং সেটে আটকে রাখা, মেকআপরুমে হুমকি দেওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগ। পরে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়, অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক একে অন্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে প্রত্যেকে তাঁদের সংগঠনে অভিযোগ করেন। কারণ, সবাই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো অস্বীকার করছিলেন। পরে এ ঘটনা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) পর্যন্ত গড়ায়। সে ঘটনা নিয়ে অবশেষে গত রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে ছোট পর্দার পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন মীমাংসায় বসে। রাত ১০টা পর্যন্ত সেই মিটিং চললেও সেদিন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি সংগঠনগুলো। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে গতকাল রাতে সংগঠনগুলো তাদের সিদ্ধান্ত জানায়। কী ছিল সিদ্ধান্ত?টেলিপ্যাব সভাপতি মনোয়ার হোসেন পাঠান এর সভাপতিত্বে শুরু হয় বিচার সভা।
ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সভাপতি মনোয়ার হোসেন পাঠান এর সভাপতিত্বে শুরু হয় বিচার সভা। এই বিচারসভায় অভিনয়শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ড ও টেলিপ্যাবের একাধিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সবার কথা শোনেন তাঁরা। অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘কেউ যেন ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় সেই জন্য আমরা সবার কথা আলাদাভাবে শুনেছি। এখানে নারী অভিনয়শিল্পী চমকের কথা শোনার জন্য আমাদের নারী সহকর্মী ছিলেন। যা ঘটেছে সেটা যেন সবাই প্রকাশ করতে সেই ব্যবস্থা আমরা রেখেছিলাম। পরের সব সংগঠনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

অভিনয় শিল্পীসংঘ লিখিত আকারে তাদের সাংগঠনিক মতামত পাঠায়। সাংগঠনিক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘শুটিং সেটে উত্তেজিত অবস্থায় চমক যে আচরণ করেছেন, যার কারণে সেটে পুলিশ আসা, শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং পরিচালক আর্থিক ক্ষতি ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ছাড়া জ্যেষ্ঠ অভিনেতা মাসুম বাশার মাসুম এবং নির্মাতা আদিব হাসানসহ ইউনিটের সবার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তা অভিনেত্রী চমকের ভুল ছিল এবং পরবর্তীতে অভিনেতা আরশ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইন্টারভিউতে যে অভিযোগ এনেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রতীয়মান হয়।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...