জুলাই ২৭, ২০২৪

ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কে. ভার্মা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথম সাক্ষাৎ করেছেন।

সোমবার (২১ নভেম্বর) নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে এবং সম্পর্ককে ‘দৃঢ় ও অনন্য’ বলে অভিহিত করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশ ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বন্ধনের মাধ্যমে অবিচ্ছিন্নভাবে জড়িত এবং গত ৫০ বছরে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অনুকরণীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ঢাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন নানাভাবে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিপূরক।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি ‘আঞ্চলিক সংযোগ কেন্দ্র’ হিসাবে অবস্থান করছে এবং ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কল্পনা অনুসারে সংযোগের দৃষ্টিভঙ্গির সুবিধা পেতে পারে।

ড. মোমেন সন্ত্রাস, মৌলবাদ এবং বিদ্রোহের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেছেন, যা শেষ পর্যন্ত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছে।

তিনি সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করার আহবান জানান।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিষয়ে মোমেন এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক নিয়ম ও বিধান ভিত্তিক অবাধ ও ন্যায্য সংযোগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার অভিভূত হয়ে বলেন, বাংলাদেশে তিনি যেখানেই যান না কেন তাকে আন্তরিক উষ্ণতার সঙ্গে গ্রহণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে কাজ করাকে সম্মান ও সুযোগ-সুবিধার বিষয় উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পারস্পরিক স্বার্থের ব্যাপারে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ এর বৈঠকে ভারত জি-২০ বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করে যাতে বৈশ্বিক আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

হাইকমিশনার প্রতিটি দেশের প্রার্থীদের সমর্থনে বহুপাক্ষিক অঙ্গনে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন।

তারা যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যুগ যুগ ধরে চলে আসা সম্পর্ককে জোরদার করতে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ড. মোমেন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে ভারতের সমর্থন চেয়েছেন।

জবাবে, হাইকমিশনার বলেন, ভারতও সংকটের একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান পেতে আগ্রহী এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, স্থায়ী এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ চালিয়ে যাবে।

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *