

নেপালের মদন-আশ্রিত মহাসড়কে ভয়ংকর ভূমিধস হয়েছে। এতে দুটি যাত্রীবাহী বাস ছিটকে ত্রিশূলি নদীতে ভেসে গেছে। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ৬৩ জন নিখোঁজ। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
চিতওয়ানের চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার ইন্দ্রদেব যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ভোরের দিকে বাসগুলি মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। তখন ভূমিধসের সময় বাসগুলি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে যায় উত্তাল নদীতে। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বাস দুটিতে ৬৩ জন যাত্রী ছিল।
‘আমরা দুর্ঘটনাস্থলে এসেছি। উদ্ধার কাজ চলছে। তবে অবিরাম বৃষ্টির কারণে বাস দুটি খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে।’, বলেন তিনি।
কর্মকর্তারা জানায়, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে- অ্যাঞ্জেল বাস এবং গণপতি ডিলাক্স পরিবহনের দুটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। অ্যাঞ্জেল বাসটি কাঠমান্ডুতে যাচ্ছিল, এতে ২৪ জন যাত্রী ছিল। আর গণপতি ডিলাক্স পরিবহনের বাসটি রাউতাহাটের গৌড়ের দিকে যাচ্ছিল, এতে ৪১ জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে গণপতি ডিলাক্সের তিনজন যাত্রী লাফিয়ে বাস থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও এখনও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিখোঁজ যাত্রীদের কেউই বেঁচে নেই।
এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল এক্স পোস্টে বলেন, ’নারায়ণগড়-মুগলিন সড়কে ভূমিধসের পর বাস ভেসে গিয়ে পাঁচ ডজন যাত্রী নিখোঁজ হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। বন্যা ও ভূমিধসে দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাত্রীদের খুঁজে বের করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সব সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছি।’
এদিকে আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ থাকায় কাঠমান্ডু থেকে ভরতপুরগামী সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সড়কপথেই যাতায়াতে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। বিগত কয়েক সপ্তাহে টানা বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে নেপালে ইতিমধ্যে ৬২ জন নিহত এবং ৯০ জন আহত হয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন এক হাজারের বেশি পরিবার।