চাল, চিনি, গম-সহ রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সার আনতে অনুমোদন দেওয়ার পাশপাশি পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি (এফপিএমসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের এফপিএমসি’র সভাপতি ড. সালেহউদ্দিন বলেন, অতি শীঘ্রই যেন এই পণ্যগুলো আনা হয়, সেজন্য অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমারা নিশ্চিত করেছি; চাল গমসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন- রোজার জন্য ডাল ও খেজুরের বরাদ্দে কোনো সমস্যা হবে না। কোনোভাবেই যেন ভোগ্যপণ্য বা ভোক্তাদের কোনো সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
উপদেষ্টা বলেন, “এখন খাদ্যদ্রব্য মনিটরিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা বলেছি, কোন কোন পণ্যের মজুদ কী অবস্থায় আছে এবং কী কী পণ্য আমদানি করতে হবে- সেগুলো নিয়ে কাজ করতে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়াতে বলে দিয়েছি। তারা দ্রুত পণ্য আনতে পারে।”
তিনি বলেন, “আমরা চাল-গমের বিষয়ে যতটুকু মজুদ আছে, যতটুকু আমদানি দরকার, তারচেয়ে কিছুটা বেশি আমদানি ও সংগ্রহ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রয়োজন যদি এক্স হয়, তবে টার্গেট এক্স প্লাস ওয়ান করতে বলেছি।”
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “আমরা ধান ও চাল সংগ্রহের দাম ঠিক করে দিয়েছি। সেটা যেন ভোক্তা ও কৃষকদের জন্য যুক্তিপূর্ণ হয়; আমরা একটা দাম ঠিক করব, আর বাজারে এর থেকে বেশি ব্যবধানে বিক্রি হবে- এমন যেন না হয়। তাহলে বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুবিধা নেবে।”
তিনি বলেন, “আসন্ন রোজায় যেন পণ্যের দাম না বাড়ে সেজন্য আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলাম; যাতে করে ছোলা, ডাল, চিনি, তেল এবং খেজুর দেশে ঠিক সময়ে আমদানি হয়।”