ইরানের জাতীয় সংসদকে সব সময় জনগণের স্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টিকারী ও আশা জাগানিয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
তিনি বলেছেন, মানবসেবার নিয়তে কিছু করলে তা সৎ ও পুণ্যের কাজ হিসেবে মর্যাদা পায়। কৃতজ্ঞতার গুণে গুণান্বিত ও সর্বজ্ঞানী আল্লাহ ইহকাল ও আখিরাতে এজন্য পুরস্কৃত করবেন।
প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর পর সোমবার যাত্রা শুরু করেছে ইরানের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির বার্তা পাঠের মধ্যদিয়ে নতুন সংসদের কার্যক্রম শুরু হয়।
দ্বাদশ সংসদের উদ্বোধন উপলক্ষে এক বার্তায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বরাবরের মতো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শুরু হওয়ায় আমি বিনীতভাবে প্রিয় প্রজ্ঞাবান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং ইরানি জাতির জন্য আল্লাহর মহান উপহার ইসলাম ভিত্তিক গণতন্ত্রের ধারাবাহিক গতিময়তা ও দৃঢ়তার জন্য তার প্রশংসা করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি নতুন সংসদ দেশের উজ্জ্বল দিগন্তে নতুন আভা সৃষ্টি করতে পারে এবং জাতির আশা ও প্রেরণা বাড়াতে পারে।
খামেনি বলেন, রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সময় নৈতিক গুণাবলী আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই ধার্মিকতা, ক্ষমা, ন্যায্যতা, সততা, দায়িত্বশীলতা ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার পরশ পাথর নিজের আসল মূল্য প্রকাশ করে। এই বিষয়ে আত্মসচেতনতাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
নতুন সংসদের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনগণের হৃদয় জয় করতে পারা এবং তাদের অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা- ধন্যবাদ পাওয়া এই পৃথিবীতে একটি ঐশী পুরস্কার।