নভেম্বর ১৪, ২০২৪

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর আহমেদ মিশুক নগদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুলেছেন।

তানভীর আহমেদ মিশুক ফেসবুক পোস্টে এমন অভিযোগ তোলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে তানভীর আহমেদ মিশুক গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, কত ব্যাংকের বিরুদ্ধে কত অভিযোগ। হাজার হাজার, এমনকি লক্ষ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ আছে। তারপরও সেসব ব্যাংকে তিনি প্রশাসক বসাননি। কিন্তু গভর্নর পদে বসার পর রাতারাতি তিনি নগদে প্রশাসক বসিয়েছেন। এর মানে সব ছক আগে থেকেই করা।’

তানভীর আহমেদ আরও লিখেছেন, স্বচ্ছতার স্বার্থে ফরেনসিক তদন্তে তাঁর আপত্তি নেই। কিন্তু কোনো বিদেশি কোম্পানি দিয়ে তদন্ত করতে হবে।

‘নগদ’-এর পরিচালনা পর্ষদ ও শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিলুপ্ত করে প্রশাসক বসানোর পর প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ অভিযোগ তুলেছেন।

নগদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে যত অনিয়ম হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে ফরেনসিক নিরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়ার খবর প্রকাশতি হওয়ার পর তানভীর আহমেদ তাঁর ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেন।

এর আগে গত ২২ আগস্ট প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন পরিচালককে। তিনি ফরেনসিক পরীক্ষার ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়ে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নগদে যখন প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত হয়, তখন তানভীর আহমেদ বিদেশে অবস্থান করছিলেন। তিনি এখনো দেশে ফেরেননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপের ফলে তিনি পদও হারিয়েছেন।

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৯ সালে শুরু হয় নগদের কার্যক্রম। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে গ্রাহক ধরতে প্রতিষ্ঠানটি একচেটিয়া সুবিধা ভোগ করে। শেখ হাসিনার সরকার সব সরকারি ভাতা বিতরণের জন্য নগদকে বেছে নেয়। ফলে সরকারি ভাতাভোগীদের বাধ্য হয়ে নগদের গ্রাহক হতে হয়। নগদকে ডাক বিভাগের সেবা বলা হলেও বাস্তবে এতে সরকারি বিভাগটির কোনো মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ ছিল না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...